নির্ভীক কন্ঠ নিউজ গ্রুপ ::: আরামবাগের অ্যাঞ্জেল অ্যাগ্রোটেক সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজিবুল্লাকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে সোমবার। আপাতত তিনি সিবিআই হেফাজতে। কিন্তু তাঁর গ্রেফতারিতেই যেন সিঁদুরে মেঘ দেখছেন হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকার অনেকে। প্রকাশ্যে কেউ কিছু না বললেও, অনেকেই আশঙ্কা করছেন নাজিবুল্লার সূত্র ধরে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি অনেক নেতাকে ডাকাডাকি করতে পারে।একসময় ‘আরামবাগের গর্ব’ বলা হত যাকে, সেই শেখ নাজিবুল্লা ওরফে রাহুল এখন ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থা চালানোর অভিযোগে সিবিআই হেফাজতে। তার গ্রেফতারি নিয়ে কোনও মন্তব্যে নারাজ তার পরিবার। আরামবাগের একটি নার্সিংহোমের সঙ্গে যুক্ত নাজিবুল্লার দাদা শেখ গোলাপ বলেন, ‘ভাইয়ের খবর রাখিনি। কোন মন্তব্যও করব না।’ নাজিবুল্লার বাড়ি আরামবাগের বাতানলে। আরামবাগের নেতাজি মহাবিদ্যালয়ের বাণিজ্যের স্নাতক বছর সাঁইত্রিশের নাজিবুল্লাকে আরামবাগবাসী ‘রাহুল’ নামেই চেনেন। আরামবাগের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে তখন ‘রাহুল রাজ’ চলছে। কলেজ থেকে বেরোনোর পরে তিনিই ২০০৯ সালে অর্থলগ্নি সংস্থা শুরু করেন। অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে আমানতকারীদের থেকে ৪৫৪ কোটিরও বেশি টাকা তুলেছিল সে। ২০১৩ সালে নাজিবুল্লার সংস্থায় ঝাঁপ পড়তেই সেখানে লগ্নিকারীদের বিক্ষোভ আছড়ে পড়ে। বেশি টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বহু আমানতকারীর থেকে টাকা নিয়েছিল নাজিবুল্লা। ২০১৪ সালের ৪ জানুয়ারি দুপুরে আরামবাগের বসন্তপুরে তার সংস্থায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করে তদন্তকারী সংস্থা। তারপর আর নাজিবুল্লাকে আরামবাগে দেখা যায়নি।অ্যাঞ্জেল অ্যাগ্রোটেক সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজিবুল্লা দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক ছিলেন। সিবিআইয়ের হাতে ধরার পড়ার পরে রবিবার বারুইপুর আদালত তাকে ১০ দিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে পাঠায়।