নির্ভীক কণ্ঠ ডিজিটাল ডেস্ক :::: হুগলি জেলার ত্রিবেণী সঙ্গমের জল এবং মহাপ্রভুর স্মৃতিবিজড়িত নবদ্বীপের মাটি ও জল যাচ্ছে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণে। আগামী ৫ আগস্ট অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের প্রাথমিক পর্যায়ে ভূমি পূজন অনুষ্ঠান হতে চলেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের। অযোধ্যায় এখন তার প্রস্তুতি তুঙ্গে। ৫ আগস্ট ভূমি পূজনের জন্য রবিবার হুগলির ত্রিবেণী সঙ্গম থেকে জল তুলে তা পাঠানো হল সুদূর অযোধ্যায়। দেশের বিভিন্ন ধাম ও তীর্থস্থান থেকে মাটি ও জল পৌঁছে যাবে অযোধ্যায়। ত্রিবেণী গঙ্গা, কুন্তি ও সরস্বতী নদীর সঙ্গমস্থল। সেখানকার পবিত্র জল রাম মন্দিরের ভূমি পূজায় অন্যতম প্রয়োজনীয় উপকরণ। রবিবার ত্রিবেণী থেকে জল তুলে অযোধ্যায় পাঠানো উপলক্ষে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP), হুগলি জেলার পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঘাটে ফিরে পূজার্চনার পর পিতলের ঘট ভরতি সেই জল নিয়ে ত্রিবেণী থেকে সদস্যরা রওনা হয়ে যান কলকাতার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখ্য কার্যালয়ের উদ্দেশে। সেখান থেকে সোমবার সকাল আটটায় জল নিয়ে অযোধ্যার উদ্দেশে জেলা ও রাজ্যের কার্যকর্তারা রওনা দেবেন বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশে রাম মন্দিরের শিলান্যাস করার জন্য শনিবার নবদ্বীপে চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মভিটের মাটি এবং জল পাঠানো হয় অযোধ্যায়। মাটি ও জল প্রথমে কলকাতা হয়ে তারপর অযোধ্যায় পৌঁছাবে। নবদ্বীপ ধাম যেহেতু একটি পুণ্যস্থান যেখানে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যের জন্ম হয়েছে এবং পদধূলি রয়েছে সেই স্থানের মাটি ও গঙ্গাজল যাচ্ছে অযোধ্যায়। নদীয়া জেলা উত্তরের বজরঙ্গ দল নিজেদের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নিয়ে অযোধ্যার উদ্দেশ্য রওনা করার সু-ব্যবস্থা করে গাড়িতে তুলে দেয় গঙ্গার মাটি। শুক্রবার নবদ্বীপ ধামের প্রাচীন মায়াপুর রামচন্দ্রপুরের গঙ্গার ধার থেকে যজ্ঞ করে মাটি ও জল অযোধ্যার রামমন্দিরের উদ্যেশে রওনা হলো। মহাপ্রভু চৈতন্যদেবের জন্মস্থান নবদ্বীপধাম থেকে শুক্রবার সকালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আরএসএস ও বজরং দলের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা নবদ্বীপ প্রাচীন মায়াপুর রামচন্দ্রপুরে গঙ্গার ধারে যজ্ঞপুজো করেন।